


জুলফিকার আলি— যে সমস্ত কংগ্রেস কর্মীরা বিভিন্ন কারণে দল ছেড়েছেন, তাঁরা দলে ফিরে আসুন। তাঁদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হবে। মঙ্গলবার মালদায় এক প্রকাশ্য সভায় পুরাতন কংগ্রেস কর্মীদের এইভাবেই ফিরে আসার আহ্বান জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এদিনের সভা থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন।বিধানসভা ভোটে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। তার আগে নিজেদের পক্ষে থাকা জনমত যাচাই করে নিতে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। একসময় মালদা সহ গৌড়বঙ্গের তিনটি জেলায় কংগ্রেসের একাধিকপত্য থাকলেও বর্তমানে সেই শক্তি অনেকটা কমেছে। তবে তৃণমূলের দুর্নীতি এবং বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রচুর মানুষ ক্ষুব্ধ। তাঁদের সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে ভোটবাক্সে তার প্রভাব ফেলতে উদ্যোগ নিয়েছে বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব।সোমবার রায়গঞ্জে কংগ্রেসের সভা থেকে তিনি জানিয়েছিলেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস জোটবদ্ধভাবে লড়াই করবে। যৌথ ইস্তেহার প্রকাশ করবে তাঁরা। পাশাপাশি কংগ্রেস আলাদা ইস্তেহারও প্রকাশ করবে। মঙ্গলবার মালদা জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় কয়েক হাজার কংগ্রেস কর্মী এদিনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনশ নিয়েছিলেন। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, মালদা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী, ফরাক্কার বিধায়ক মইনুল হক সহ মালদা জেলা কংগ্রেসের নেতারা।বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধীরবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। একসময় বিজেপিকে বাংলার মাটিতে তিনিই নিয়ে এসেছিলেন। বিজেপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এখন আপনার বিজেপিকে ভালো না লাগলে আমরা কী করতে পারি। আপনিই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে জায়গা করে দিয়েছেন। সিপিএম এবং কংগ্রেসকে দুর্বল করেছেন। এখন তাঁদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিজেপি রাজ্য কাঁপাচ্ছে। আর আপনি আমাদের গালাগালি করছেন। আপনার লোকেরা আপনাকে ছেড়ে পালাচ্ছে। আপনার কোথাও যাবার জায়গা নেই। আপনাকে কংগ্রেসের পা ধরতে হবে। আপনারা যারা তৃণমূল করছেন, একসময় আপনারা কংগ্রেসে ছিলেন।এখনো আপনাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে। আপনারা কংগ্রেসে ফিরে আসুন, আপনাদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।